জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
আপনি যদি জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়, জোভিয়া গোল্ড
সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর কাজ কি, জোভিয়া গোল্ড
ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম,জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, জোভিয়া গোল্ড
সিরাপ এর উপকারিতা অপকারিতা,
ওষুধের দাম কত, এর পুষ্টিগুণ, এটি কোথায় পাওয়া যায় ও জোভিয়া গোল্ড সিরাপ
চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসতে
পারে। চলুন তাহলে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে আসা যাক।
পেইজ সূচি: জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
- জোভিয়া গোল্ড এর কাজ
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
- জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
- জোভিয়া গোল্ড খেলে কি হয়
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা
- জোভিয়া কিডস সিরাপ
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কিসের ঔষধ?
- জোভিয়া গোল্ড এর দাম কত?
- জোভিয়া গোল্ড মাল্টিভিটামিন
- জোভিয়া গোল্ড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবনে সতর্কতা
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর পুষ্টি উপাদান সমূহ:
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কোথায় পাওয়া যায়
- আসল জোভিয়া গোল্ড সিরাপ চেনার উপায় সমূহ:
- কিছু সাধারণ প্রশ্ন( FAQ ):
- শেষের কথা : জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় আপনারা অনেকেই এই সম্পর্কে জানতে চান।
জোভিয়া গোল্ড সাধারণত একটি ভিটামিন এটা মোটা হওয়ার কোন ওষুধ নয়। তবে এই
সিরাপটি খেলে পরোক্ষভাবে আপনি মোটা হতে পারবেন। কেননা এত রয়েছে আমাদের শরীরের
জন্য উপকারী ভিটামিন ও মিনারেল যা মূলত শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এতে থাকা কিছু উপাদানের কারণে আমাদের ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতাকে উন্নতি করে । এই সিরাপটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিংক, ভিটামিন
বি কমপ্লেক্স ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত
করে। ফলে ক্ষুধা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায় ।
এই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে আপনি যদি
নিয়মিত সঠিক মাত্রায় জোভিয়া সিরাপ খান ও নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তাহলে আপনার
স্বাস্থ্য স্বাভাবিক ওজন বজায় থাকবে। কেননা এই সিরাপ আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর
স্টোরয়েড নেই। সুতরাং এ থেকে আমরা জানতে পারি জোভিয়া গোল্ড আমাদের শরীরের ওজনকে
সরাসরি বাড়ায় না। বরং এটি আমাদের শরীরের জন্য নানার উপকারী লাগে।
জোভিয়া গোল্ড এর কাজ
জোভিয়া গোল্ড একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট যা আমাদের শরীরের
কোলাজেনকে বৃদ্ধি করে আমাদের ত্বক, চুল , নখ ও উজ্জ্বল করে তোলে। এতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যে আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল কে বাধাগ্রস্থ
করে বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে । জোভিয়া গোল্ড নিয়মিত খেলে ত্বক মসৃণ,
উজ্জ্বল, ও টানটান। এই সিরাপ আমাদের ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে ।
এতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বকে কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । আবার আমাদের
বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা ও শরীরের হার মজবুতে ভালো উপকারী। জোভিয়া গোল্ড
সিরাপ আমাদের শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মহিলাদের
অনিয়মিত মাসিক চক্র ঠিক করতে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খুব ভালো কাজ করে। এটি আমাদের
হজম শক্তি ও শরীরের রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে পারে।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কি? জোভিয়া গোল্ড থেকে ভালো উপকার পেতে হলে
অবশ্যই জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত বিভিন্ন
বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে জোভিয়া গোল্ড সিরাপের বিভিন্ন ডোজ হয়ে থাকে। চলুন
তাহলে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
বয়স অনুযায়ী জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়মঃ
১ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য
আপনার বাচ্চার বয়স যদি ৬ মাস থেকে ১ বছরের ভিতর হয় তাহলে দিনে মাত্র ১ চা চামচ
সিরাপ খাওয়া যথেষ্ট।
১ থেকে ৪ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
আপনার বাচ্চার বয়স যদি ১ থেকে ৩ বছরের ভিতরে হয় তাহলে দিনে মাত্র ১ থেকে ২ চা
চামচ করে খাওয়া যথেষ্ট। তবে দিনে একবার করে খাবার খাওয়ার পর খাওয়াবেন তাহলে
ভালো উপকার পাবেন।
৪ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
আপনার বাচ্চার বয়স যদি ৪ থেকে ১২ বছর বয়সের ভিতরে হয়ে থাকে তাহলে দিনে ২ থেকে
৩ চা চামচ করে দিনে একবার অথবা দুইবার খাওয়াতে পারেন ।
১৩ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য
13 বছর বয়সের বেশি হলে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ চা চামচ পরিমাণ পরিমাণ সিরাপ দিনে
দুইবার খেতে পারেন।
সতর্কতা সমূহ:
জোভিয়া গোল্ড খাওয়ার আগে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- শিশুদের জোভিয়া সিরাপ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ানো উচিত নয়।
- অন্য কোন ভিটামিন সিরাপের সাথে এই সিরাপটি খাওয়ানো উচিত নয়।।
- আপনার যদি ডায়াবেটিস, কিডনি অথবা লিভারে কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ করে খাবেন।
- এই সিরাপটি সব সময় খাবার খাওয়ার পর খাওয়া উচিত। কারণ এভাবে খেলে আমাদের শরীর খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সঠিক নিয়মে খেলে অবশ্যই থাকে উপকার পাওয়া সম্ভব।
জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম কি ? জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সাধারণত বড়রা
অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্করা খেয়ে থাকে। তাছাড়া জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট হল একটি উচ্চ
ক্ষমতা সম্পন্ন পুষ্টিগুনে ভরপুর মাল্টিভিটামিন যা আমাদের জন্য উপকারী । একজন
স্বাভাবিক মানুষের শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য দিনে একটি করে ট্যাবলেট
খাওয়াই যথেষ্ট।
ডাক্তাররা এই ট্যাবলেট গুলো খাবার খাওয়ার পর খাওয়ার পরামর্শ দেই। পানি দিয়ে
ট্যাবলেটটি খেয়ে ফেলুন। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া কখনোই উচিত নয় এতে
আপনার শরীরে নানান পার্শ্বপ্রতিকরা দেখা দিতে পারে।
জোভিয়া গোল্ড খেলে কি হয়
জোভিয়া গোল্ড খেলে কি হয়? আমাদের ভেতরে অনেকেরই একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে মোটা হওয়া যায় কিন্তু এটা সঠিক নয়। জোভিয়া গোল্ড
সিরাপ হল একটি শরীরের জন্য উপকারী মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল যা আমাদের শরীরের
উপকারে কাজে লাগে।
- শারীরিক ক্লান্তি দূর করে ও শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
- এটা থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নার্ভের কার্যকারিতা ভালো রাখতে সহায়তা করে।
- শরীরের নতুন কোষ গঠনে ও মেরামাতে সাহায্য করে।
- চুল, নখ ও ত্বক জন্য সিরাপটি খুবই উপকারী।
- শারীরিক দুর্বলতা দূর করে।
- শরীরের হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে।
- অ্যানিমিয়া রোগ থেকে ভালো করে।
সুতরাং দুর্বল, শিশু ও বয়স্কদের এটি একটি উৎকৃষ্ট মাল্টিভিটামিন। তবে তবে
গর্ভাবস্থায়ী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে জোভিয়া গোল্ড খাওয়ার আগে
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। চলুন তাহলে
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।
- রক্তস্বল্পতা দূর করে।
- আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাথাকে বৃদ্ধি করে
- বার্ধক্য কারণে হওয়া রোগ নিরাময় ভালো কাজ করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো করে।
- চুল ও নখের যত্নে কাজ করে।
- পুষ্টিহীনতা দূর করতে পারে।
- মানসিক চাপ , দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- দীর্ঘস্থায়ী রোগের পর সুস্থ হতে সাহায্য করে।
- পেশি গঠন ও মেরামাতে সাহায্য করে।
- ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- পাচন প্রক্রিয়া ভালো রাখে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
- দাঁত ও হাড় মজবুত করে।
উপরে তথ্যগুলো মাধ্যমে আমরা জোভিয়া গোল্ড সিরাপের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে
জানতে পারলাম।
জোভিয়া কিডস সিরাপ
জোভিয়া কিডস সিরাপ কি? জোভিয়া কিডস সিরাপ হল শিশুদের জন্য তৈরি করা হেলথ
সাপ্লিমেন্ট যা বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল দিয়ে তৈরি করা হয়। এই সিরাপ বাচ্চাদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে ও শিশুদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে এই সিরাপটি খুব ভালো কাজ করে।
- বিশেষ করে এটি শিশুদের ক্ষুধামান্দা দূর করে, শারীরিক দুর্বলতা দূর করে , বারবার অসুস্থ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার জন্য জোভিয়া কিডস সিরাপ ব্যবহার করা হয়। চলুন তাহলে শিশুদের জোভিয়া কিডস সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
- জোভিয়া কিডস সিরাপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, ভিটামিন সি ও অন্যান্য মিনারেল আপনার শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।। এ কারণে শিশুর সহজেই ঠান্ডা কাশি জনিত রোগ থেকে রক্ষা পাই।
- এতে থাকা আয়রন , অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটার ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এজন্য আপনার শিশুর মস্তিষ্কের গঠন ও বুদ্ধির বিকাশ এর জন্য এই সিরাপটি নিয়মিত খাওয়াতে পারেন।
- এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শিশুর শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
- শিশুর পেট ফাঁপা বা হজমে সমস্যা জন্য জোভিয়া কিডস সিরাপটি ভালো উপকারী। কারণ এটা থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান প্যাপেন ও জিনজার এক্সট্র্যাক্ট শিশুর হজম প্রক্রিয়া উন্নতিতে সাহায্য করে। সাথে শিশুর গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ শিশুর খাবারের প্রতি অরুচি দূর করে। বিশেষ করে তাদের শিশু খাবার খেতে চায় না তারা এই সিরাপটি বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে পারেন। এতে খাবারের প্রতি অনিহা দূর হবে।
- জোভিয়া গোল্ড এ থাকা ক্যালসিয়াম , ভিটামিন ডি ও প্রোটিন। শিশুর দাঁত, নখ, হাড়, চোখ ও পেশির গঠনে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- জোভিয়া কিডস সিরাপে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ ও বায়োটিন রয়েছে, যা শিশুর চুলের ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- জোভিয়া কিডস সিরাপে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি শিশুর স্নায়ুতন্ত্র শান্ত রাখে।
- শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেও শিশুর সৃজনশীল বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে।
- এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
- এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ৬ শিশুর স্নায়ু শান্ত করে ও শিশুর ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত সঠিক মাত্রায় খেলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশুর শরীরের বিশেষ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো বৃদ্ধি পাই।
সতর্কতাঃ
- জোভিয়া কিডস সিরাপ আগে অবশ্যই এই কথাগুলো মেনে চলতে হবে।
- এই সিরাপটি খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- অতিরিক্ত খাওয়ানোর ফলে শিশুর শরীরে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- যেই শিশুর জোভিয়া গোল্ড সিরাপ প্রতি এলার্জি আছে সেই শিশুকে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কিসের ঔষধ?
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কিসের ঔষধ? আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে জোভিয়া
গোল্ড সিরাপ কিসের ঔষধ। এটি সাধারণত একটি মাল্টিভিটামিন ও মাল্টি মিনারেল
সাপ্লিমেন্ট যা আমরা বিভিন্ন কারণে খেয়ে থাকি।
এই সিরাপ খাওয়ার মূল কারণ হলো আমাদের শরীরের দুর্বলতা দূর করে পুনরায় শরীরে
শক্তি ফিরে পাওয়া। এই সিরাপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন
বি কমপ্লেক্স ও আয়রন যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে পারে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে, আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ এ সাহায্য
করে।
আমাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ , বিষন্নতা ও উদ্বেগ দূর করে । পুষ্টির অভাবজনিত
দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। শিশু, বয়স্ক ও শারীরিক দুর্বল রোগীদের ক্ষেত্রে এই
সিরাপটি ভালো কাজ করে। এছাড়া আমরা যদি নিয়মিত এই সিরাপ খাই তাহলে আমাদের শরীরের
ক্লান্তি দূর হবে, শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও মানসিক স্বাস্থ্যর উন্নতি
ঘটবে। রোগ সংক্রমনের হাত থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভালো কাজ করে ।
জোভিয়া গোল্ড এর দাম কত?
জোভিয়া গোল্ড এর দাম কত ? জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয় এই সম্পর্কে
জানলাম। এবার চলুন জোভিয়া গোল্ডের দাম কত তা জানা যাক। এটি আমরা সাধারণত শরীরের
বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য খেয়ে থাকি। জোভিয়া গোল্ড সাধারণত দুই ভাবে
পাওয়া যায় যেমন ট্যাবলেট ও সিরাপ হিসেবে। সিরাপ বাচ্চাদের জন্য আর ট্যাবলেট
বড়দের জন্য।
জোভিয়া গোল্ডের এর প্রতিটি পাতায় ৩০টি করে ট্যাবের থাকে যার এককটির দাম ১১ টাকা
করে। সুতরাং এর একপাতার দাম হবে ৩৩০ টাকা। আর জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর ১০০ মিলি
লিটার এর দাম ৯০ টাকা ও ২০০ মিলিলিটার এর দাম ১৮০ টাকালিটার ।
জোভিয়া গোল্ড মাল্টিভিটামিন
আমাদের ভেতরে অনেকে জানতে চাই জোভিয়া গোল্ড মাল্টিভিটামিন আসলে কি? জোভিয়া
গোল্ড একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মাল্টিভিটামিন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভিটামিন ও
মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ , জিংক
ম্যাগনেসিয়াম , আয়রন ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি।
মাল্টিভিটামিনটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। উদ্বেগ,
বিষন্নতা ও মানসিক চাপ কমাতে পারে ও আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
আমাদের মধ্যে যারা ব্যস্ত তার করেন সময় মত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন না তাদের
জন্য বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা পূরণ এটি সহজ করে দিয়েছে।
জোভিয়া গোল্ড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিয়ম মেনে না খেলে জোভিয়া গোল্ড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। চলুন তাহলে
জোভিয়া গোল্ড খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
- জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর মধ্যে উত্তেজক পদার্থ থাকতে পারে যা আমাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
- এতে ক্যাফেইন এর মত উপাদান থাকতে পারে যা আমাদের হৃৎপিণ্ডের গতি বৃদ্ধি করে।
- অতিমাত্রায় খেলে আমাদের ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
- হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- অতিরিক্ত খেলে বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে ।
- শরীরের বিপাকক্রিয়া বেড়ে শরীর দিয়ে ঘাম ঝরতে পারে।
- রক্তচাপ ও স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- শারীরিক দুর্বলতা অনুভব, মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথার মত হতে পারে।
- দীর্ঘদিন ধরে খেলে লিভারের সমস্যা দেখাতে পারে।
- অতিরিক্ত খেলে আমাদের কিডনির সমস্যা হতে পারে।
- অতিমাত্রায় জোভিয়া গোল্ড খাওয়া আমাদের শরীরে অস্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।জোভিয়া গোল্ড খাওয়ার মাধ্যমে উপরে দেওয়া সমস্যা গুলো এড়াতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায় খাবেন।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ সেবনে সতর্কতা
- বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে এই সিরাপ খাওয়া কখনোই উচিত নয়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে কিডনি , লিভার ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
- গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এই সিরাপ খুব সতর্কতার সাথে খাওয়া উচিত।
- বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত খাওয়া উচিত নয়।
- যাদের জোভিয়া গোল্ড সিরাপ প্রতি এলার্জি আছে তাদের এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেকোনো ধরনের ওষুধ অতিরিক্ত সেবনে আমাদের শরীরে নানান ক্ষতিকর বয়ে আনতে পারে সুতরাং কোন ওষুধই প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
- আপনারা যারা জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেতে চাচ্ছেন তারাই আলকোহল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- এটি অবশ্যই শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন ও শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর পুষ্টি উপাদান সমূহ:
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর ভিটামিন উপাদান কি? উপরের তথ্য থেকে আমরা জানলাম জোভিয়া
গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হওয়া যায় কিনা। এবার জোভিয়া গোল্ড থাকা নানান
ভিটামিন উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করব। জোভিয়া গোল্ডে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য
উপকারী নানান পুষ্টি উপাদান। চলুন তাহলে জোভিয়া গোল্ড এর প্রতি ৫ মিলিলিটার
সিরাপে কতটুকু ভিটামিন রয়েছে সেই সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়া যাক।
জোভিয়া গোল্ড এর পুষ্টি উপাদান সমূহ:
- ম্যাঙ্গানিজ ০.৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম
- ক্রোমিয়াম ৩ থেকে ৪ মিলিগ্রাম
- প্যারা এমিনো বেনজয়িক এসিড ৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন এ ৪২৫
- ভিটামিন সি ৬৭ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন ডি ৩ ১৩৭
- থায়ামিন ১ মিলিগ্রাম
- রিবোফ্লাভিন ১ মিলিগ্রাম
- নিয়াসিন ৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি ৬ ২০ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি ১২ ৩ মাইক্রোগ্রাম
- ইনোসিটল ১০ মিলিগ্রাম
- কোলিন ৮ থেকে ১০ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম ৯ মিলিগ্রাম
- ফলিক এসিড ৬৭.৫০ মাইক্রোগ্রাম
- আয়োডিন ২৫ মাইক্রোগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ৭ থেকে ৮ মিলিগ্রাম
- জিংক ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম
- সেলেনিয়াম ১৭ থেকে ১৮ মাইক্রোগ্রাম
- বায়োটিন ৩২ মাইক্রোগ্রাম
- প্যান্টওথেনিক এসিড ৩ থেকে ৪ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কোথায় পাওয়া যায়
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কোথায় পাওয়া যায়? আমাদের ভেতর অনেকেই জোজারা গোল্ড এর
উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
অনেকে জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কিনতে চাই। এজন্য অনেকেই জানতে চাই জোভিয়া গোল্ড
সিরাপ কোথায় পাওয়া যায়। পুষ্টিগুনে ভরপুর এই জোভিয়া গোল্ড আপনার নিকটস্থ
যেকোনো ভালো ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ বা ওষুধ
বিক্রির দোকানে এই ভিটামিন টি খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
আসল জোভিয়া গোল্ড সিরাপ চেনার উপায় সমূহ:
আসল জোভিয়া গোল্ড সিরাপ চেনার উপায় কি? আমাদের ভেতর অনেকেই আসল জোভিয়া
গোল্ড সিরাপ কিনতে গিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়। কেননা তারা আসল
মনে করে নকল জোভিয়া গোল্ড সিরাপ বাজার থেকে কিনে আনে। বাজারে এমন অনেক
অসতো ব্যবসায়ী আছে যারা মানুষকে এইভাবে প্রতারণা করে থাকে। তাহলে চলুন আসল
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
- প্যাকেটের গায়ে লেখা দেখে কিনবেন। যদি লেখাগুলো অস্পষ্ট হয় তাহলে এটা কিনবেন না।
- প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন মেয়াদ, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ ও ব্যাচ নম্বর ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।
- সিরাপের বোতলটি খোলার পর যদি কোন খারাপ গন্ধ পান তাহলে এটা কিনবেন না।
- বোতলের গায়ে সিল যদি সেরা ছেঁড়া বা অস্পষ্ট থাকে তাহলে এটি নকল হতে পারে।
- নকল জোবিয়া গোল্ড সিরাপ কেনা এরাতে বিশ্বস্ত কোন দোকান থেকে এটি কিনুন ।
কিছু সাধারণ প্রশ্ন( FAQ ):
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কি?
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ হলো একটি মাল্টিভিটামিন ও মাল্টি মিনারেল সমৃদ্ধ ওষুধ।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়া কি সবার জন্য নিরাপদ?
হ্যাঁ, যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য এটি খাওয়া নিরাপদ। তবে অবশ্যই পরিণত
পরিমাণে খেতে হবে।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কত দিন খাওয়া উচিত?
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কতদিন খাবেন সেটা নির্ভর করে আপনার রোগের ধরণের উপর। তবে
সাধারণত ১ থেকে ৩ মাস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
বাচ্চারা কি জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেতে পারবে?
হ্যাঁ, বাচ্চারা জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খুব সহজেই খেতে পারে। তবে কখনোই
অতিমাত্রায় খাওয়াবেন না।
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ কখন খাওয়া উচিত?
জোভিয়া সিলভারের বয়স সীমা কত?
সাধারণত ৪৫ বছর বয়সের উপর মানুষদের এটি খেতে বলা হয়।শেষের কথা : জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
উপরে আমরা জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়, জোভিয়া গোল্ড
সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর কাজ কি, জোভিয়া গোল্ড ট্যাবলেট
খাওয়ার নিয়ম,জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, জোভিয়া গোল্ড সিরাপ এর
উপকারিতা অপকারিতা, ওষুধের দাম কত, এর পুষ্টিগুণ, এটি কোথায় পাওয়া যায় ও
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি
আপনারা এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হয়েছেন।


অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url