অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টরের
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টরের সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত।
কেননা অঙ্গীকারনামা আমাদের বিভিন্ন কাজে লেগে থাকে । যেমন জমি জায়গা
সংক্রান্ত কাজে, চাকরির শর্ত ও দায়িত্ব ক্ষেত্রে, বিয়ের জন্য, স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসায়
পারিবারিক ক্ষেত্রে, অফিসিয়াল ডকুমেন্টে, শ্রমিক নিয়োগ ও চাকরির আবেদন ইত্যাদি
ক্ষেত্রে অঙ্গীকার নামার ব্যবহার হয়ে থাকে। চলুন তাহলে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যায়।
পেইজ সূচি: অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টর
অঙ্গীকারনামা মানে কি?
অঙ্গীকার নাম হল এমন একটি লিখিত বা মৌখিক দলিল যেখানে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান কোন একটি নির্দিষ্ট কাজ বা বিষয়ের উপর প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়।
এই অঙ্গিকার নামার মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনগতভাবে একে অপরের
প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়। অঙ্গীকারনামা আইন অথবা আনুষ্ঠানিক কারণে ব্যবহার করা
হয়।
তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি আপোষনামা চুক্তিপত্র অথবা দায়িত্ব গ্রহণের স্বীকৃতি
হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টর
অঙ্গিকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস এই সম্পর্কে আমাদের ভেতর অনেকেই জানতে চাই।
কেননা অনেকেই গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করার জন্য আগ্রহী। চলুন তাহলে অঙ্গীকারনামা
লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টরের নীতিমালা জেনে আসি।
অঙ্গীকারনামার নাম নির্বাচন
অঙ্গীকারনামা দলিল লেখার সময় সর্বপ্রথম আপনাকে কিসের জন্য অঙ্গিকারনামা করছেন
সেটার নাম লিখতে হবে। যদি আপনি গার্মেন্টসের জন্য অঙ্গীকারনামা করতে চাচ্ছেন
তাহলে আপনাকে একটি বড় ফন্টের বোর্ডে লিখতে হবে গার্মেন্ট গার্মেন্টস
প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকারনামা। আর যদি আপনি অন্য কোন বিষয়ে যেমন চাকরি ক্ষেত্রে,
বিয়ের ক্ষেত্রে, ব্যবসা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা অথবা অন্য কোন সেক্টরে অঙ্গীকার
নামা করতে চাচ্ছেন তাহলে ওই নির্দিষ্ট নামটি ফন্টে উল্লেখ করবেন।
প্রতিষ্ঠাতা ও শ্রমিকের পরিচয়
কোন সেক্টরে অঙ্গীকারনামা করবেন সেই টাইটেল বা শিরোনাম লেখার পর কাজ হবে
প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিকের উভয়েরই নাম ও পরিচয় পত্র অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ
করা। সেখানে প্রথম পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষ উভয়েরই নাম ও পরিচয় লিখতে হবে। প্রথম
পক্ষ হিসেবে থাকবে প্রতিষ্ঠাতার মালিকের নামও পরিচয়। ও দ্বিতীয় পক্ষ হিসেবে
থাকবে শ্রমিকের নাম ও পরিচয়।
কোন বিষয়ে চুক্তি করছেন
অঙ্গীকারকারীদের সকল নাম পরিচয় লেখার পর আপনি কোন বিষয়ে চুক্তি করেছেন সে
বিষয়টা লিখতে হবে। আপনি ওই প্রতিষ্ঠান বা কোন বিষয়ের কোন কোন নিয়ম নীতিমালা
মেনে চলার উপর চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন সেই বিষয়গুলো অবশ্যই অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ
থাকতে হবে। যেমন সেখানে উল্লেখ থাকতে পারে চুক্তির সময়, প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম
কানুন, কর্ম সময় ও গোপনীয়তা ইত্যাদি। অথবা কোন কাজ করতে হবে আর কোন কাজ করতে
পারবেন না সেই সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে পারে।
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস
গার্মেন্টস এর জন্য অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম নমুন আকারে নিচেই উপস্থাপনা করা
হলো। এর ফলে আপনি খুব সহজে অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
অঙ্গীকারনামা
কোম্পানির নাম:---------------------
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার:-------------------------
ঠিকানা:--------------------------------
কর্মচারীর নাম:---------------------------------
জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট নাম্বার:---------------------
ঠিকানা :-------------------------------------------
পদবী:--------------------------------------------------
এই অঙ্গীকারনামাটি প্রথম পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন ও
কর্মচারীদের তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদিত করা হচ্ছে। এই চুক্তি পত্রের
মাধ্যমে কর্মচারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম কানুন ও শর্তাবলী মেনে চলার
জন্য সম্মত হন। নিম্নের দ্বায়িত্ব গুলো কর্মচারীদের মেনে চলতে হবে।
- প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পরিমাণের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করা।
- দিনে ৮ ঘন্টা করে সপ্তাহে ৫ দিন কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা।
- স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়মাবলী মেনে চলা।
- প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম কানুন এর সচেষ্ট থাকা।
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি
- কর্মচারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
- কর্মচারীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে হবে।
বেতন ও অন্যান্য সুবিধা
- কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন দেওয়া হবে। তবে কাজের দক্ষতার উপর বেতন বৃদ্ধির সুযোগ আছে।
- নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজের জন্য অতিরিক্ত ভাতা বা সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।
- কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাড়তি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। যেমন পেনশন, ভাতা, ছুটি ও ইন্সুরেন্স ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করা হবে।
চুক্তির মেয়াদ ও নবীকরণ
- অঙ্গীকারনামা মেয়াদ ২ বছর হবে। তবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সময় বৃদ্ধির সুযোগ আছে।
- আমি এই অঙ্গীকার নামার শর্ত গুলোর সাথে সম্মতি পোষন করছি এবং এই শর্ত গুলো মেনে চলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
স্বাক্ষর
প্রথম পক্ষ ( প্রতিষ্ঠান ):-------------
দ্বিতীয় পক্ষ ( কর্মচারী ):-------------
আরো পড়ুন: উম্মে দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- আবেদনকারীর সম্পূর্ণ নাম, ঠিকানা , জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নম্বর।
- কোন বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বা চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- নোটারি পাবলিক এর সত্যায়ন পএ নিতে হবে।
- আবেদনকারীর ও সাক্ষীর সাক্ষর নিতে হবে।
- স্ট্যাম্প পেপারে তারিখ ও স্থান এর উল্লেখ থাকতে হবে।
অঙ্গীকারনামা কোথায় ব্যবহৃত হয়?
- অফিসের বিভিন্ন কাজে অফিসের অঙ্গীকারনামার দরকার হয়।
- চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন হয়।
- স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় স্কুলের অঙ্গীকারনামার কাজে লাগে।
- মাদ্রাসায় ভর্তির সময় মাদ্রাসার অঙ্গীকারনামা লেখা হয়।
- স্বামী ও স্ত্রীর পারিবারিক ব্যাপারে (তালাক, বিয়ে ও দেনমোহর) পারিবারিক অঙ্গীকারনামা লেখা হয়।
- বিয়ের সময় বিয়ের অঙ্গীকারনামা লেখা
- ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য।
- ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রেসমিতির অঙ্গীকারনামা প্রয়োজন হয়।
- জমির বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তির ক্ষেত্রে জমির অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন হয়।
- কলেজে ভর্তির জন্য কলেজের অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন হয়।
- পাসপোর্ট সংশোধন এর জন্য।
- ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়।
বিয়ের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
বিয়ের অঙ্গীকারনামা শুধুমাত্র কোন একটি লিখিত দলিল নয় বরং এটি স্বামী স্ত্রীর
মধ্যে দায়িত্ব, প্রতিশ্রুতি ও আইনগত সুরক্ষার জন্য একটি চুক্তিপত্র যা দুজনকে
একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আইনগতভাবে অঙ্গীকার বদ্ধ করে।
- এটি স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
- বিয়ের অঙ্গীকারনামায় বিয়েতে স্বামী ও স্ত্রীর সম্মতি নেওয়া হয়।
- এটি আইনগতভাবে স্বামী ও স্ত্রীর বৈধতা দেয়।
- এটি স্বামী ও স্ত্রীর বিবাহিত জীবনের বিভিন্ন ভুল ত্রুটির সংশোধনে আইনগতভাবে সহায়তা দেয়।
- কোন কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে এটি কাজে লাগে।
চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে অঙ্গীতের নামা করা হয়।
- চাকরির অঙ্গীকারনামায় কর্মীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাকরিতে বহাল থাকার জন্য চুক্তিবধ্য করা হয়।
- এই অঙ্গীকার নামাই কর্মীকে চাকরির সকল নিয়ম মানা ও গোপনীয়তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়।
- কর্মীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে চাকরি ছাড়ার কারণে ক্ষতি পূরণ করার বৈধতা দেয়।
- চাকরির অঙ্গীকার নামাই বিভিন্ন নিয়ম নীতিমালা মেনে চলারে কথা উল্লেখ থাকে।
- চাকরির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হলে অঙ্গীকারনামা কাজে লাগে।
স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
কলেজের অঙ্গীকারনামাই যে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে তা নিচেই দেওয়া হল।
- কলেজের সকল নিয়ম মেনে চলা।
- একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যন্ত ক্লাস মিস করলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
- যদি কোন ছাত্র টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করে তাহলে সে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
- নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর কলেজের সকল ফ্রি পরিশোধ করতে হবে।
- কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।
স্বামী স্ত্রী অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে।
- স্বামী ও স্ত্রীর একে অপরের সম্মতি ও সাক্ষীর উপস্থিত।
- একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সম্মান বজায় রাখার অঙ্গীকার করা।
জমির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
জায়গা জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে জমির অঙ্গীকারনামা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জমির
অঙ্গীকার নামা করার কারণগুলো নিচে দেওয়া হল।
- জমির অঙ্গীকার নামায় বিক্রেতা প্রতিশ্রুতি করে এই জমিটি এখন থেকে সম্পূর্ণ ক্রেতার।
- ভবিষ্যতে এই জমির উপর বিক্রেতার কোন অধিকার থাকবে না।
- জমির অঙ্গীকার নামায় উল্লেখ থাকে এই জমিটি বিক্রেতা আর অন্য কারোর কাছে বিক্রি করতে পারবেনা।
- আইনগতভাবে জমিটি ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা।
-
ভবিষ্যতে জমি জায়গা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে অঙ্গিকার
নামা প্রমাণ স্বরূপ উপস্থাপন করা।
সমিতি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- সমিতির নিয়ম নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে চলা।
- সমিতি সদস্যরা নির্দিষ্ট সময়ে টাকা প্রদান করবে।
- সমিতির টাকাগুলো কোন অপব্যবহার করবে না।
- সমিতির সকল সদস্যরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে।
- কোন কোন ব্যক্তি সমিতির সদস্য পদে আছে সমিতি অঙ্গীকারনামা তার প্রমাণস্বরূপ।
- সমিতির সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি যাতে প্রতারণা শিকার না হয়।
নতুন ভোটার ও পাসপোর্ট সংশোধনের অঙ্গীকারনামা
নতুন ভোটারদের অথবা পাসপোর্ট সংশোধনকারীদের অঙ্গীকারনামা নিচে দেওয়া
হল।
- নিজের নাম সংশোধন করা।
- পিতা মাতার নাম সংশোধন করা।
- জন্মতারিখ সংশোধন করা।
- আবেদনকারীর কাছ থেকে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা না হওয়ার নিশ্চয়তা নেওয়া।
- ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য শাস্তি প্রদান করা।
অঙ্গীকারনামার বৈশিষ্ট্য
অঙ্গীকারনামা হল একটি আইনগতভাবে লিখিত দলিল যা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের
চুক্তিকে আইনে আইনি প্রক্রিয়াযর মধ্যে আনে । মৌখিক অঙ্গীকারের থেকে লিখিত
অঙ্গীকার অনেক বিশ্বাসযোগ্য এজন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা করা হয়।
- অঙ্গীকারনামার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি অবশ্যই লিখিত আকারের হতে হবে।
- অঙ্গীকারকারী সহ সকল সাক্ষীর স্বাক্ষর নিতে হবে।
- অঙ্গীকারনামায় অঙ্গীকারের বিষয়বস্তু গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
- অঙ্গীকারের সকল তারিখ অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ থাকতে হবে।
- অঙ্গীকার নামায় এমন কোন ভাষা ব্যবহার করা যাবে না যা বুঝতে অঙ্গীকারকারীর অসুবিধা হয়।
- অঙ্গীকারনামা হলো একটি আইনগতভাবে স্বীকৃত দলিল যা ভঙ্গ করলে আইন ভঙ্গকারীকে আইনের আয়তায় আনা যাবে।
- এটি মূলত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
অঙ্গীকারনামা লেখার গুরুত্ব
গার্মেন্টস অথবা অন্যান্য সেক্টরের অঙ্গীকারনামা লেখার গুরুত্ব অনেক।
অঙ্গীকারনামা মূলত এক বা একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভেতর আইনগতভাবে কোন
বিষয়ের উপর চুক্তি বদ্ধ হওয়া। এই অঙ্গীকারনামাযর মাধ্যমে মালিক ও
শ্রমিকের মধ্যে একে অপরের প্রতি দায়িত্ব শীলতা হওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়।
যার ফলে প্রতিষ্ঠাতা ও শ্রমিকের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও ভালো সম্পর্ক বজায়
থাকে। কোন ব্যক্তি যদি অঙ্গীকার নামাই উল্লেখিত কোন চুক্তি ভঙ্গ করে তাহলে তার
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে কোন ব্যক্তির
উপর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। এর ফলে অঙ্গীকারকারী সকল পক্ষই যে যার দায়িত্ব ও
কর্তব্যের প্রতি সচেতন থাকে।
কিছু সাধারণ প্রশ্ন ( FAQ )
অঙ্গীকার পত্র কি?
অঙ্গীকার নামা হল আইন গত ভাবে লিখিত দলিল বা প্রতিশ্রুতি যা কোন ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠানকে তার কাজের প্রতি বিশ্বস্ত ও দায়িত্বশীল হতে বলে।
অঙ্গীকারনামা কত টাকার স্ট্যাম্প?
অঙ্গীকার নামার স্ট্যাম্পের দাম কত তা নির্ভর করে আপনি কিসের জন্য অঙ্গীকার নামা
করছেন তার উপর। তবে আনুমানিক ধারণা দেওয়া যায় সাধারণ কাজের জন্য স্ট্যাম্প করতে
৫০ থেকে ১০০ টাকা লাগতে পারে এবং আইনগত বা বড় ধরনের কাজের জন্য যেমন জমি
জায়গা সংক্রান্ত ট্রাম্পের ক্ষেত্রে আনুমানিক ৩০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
অঙ্গীকারনামা করতে কি কি লাগে?
অঙ্গীকার নামা করতে সাধারণত অঙ্গীকারকারীর নাম ও পরিচয়, ঠিকানা, পাসপোর্ট সাইজের
ছবি, স্টাম্প পেপার, বিভিন্ন সাক্ষীর স্বাক্ষর ও সত্যায়ন পত্র ইত্যাদি প্রয়োজন
হয়।
কোথায় অঙ্গীকারনামা করতে হয়?
অঙ্গীকারনামা সাধারণত নোটারি পাবলিক , উচ্চতর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গেজেটেড
অফিসারের মাধ্যমে করতে পারবেন।
অনলাইন থেকে অঙ্গীকারনামা ফর্ম পাওয়া যায় কি?
হ্যাঁ আপনি চাইলে অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অঙ্গীকার নামার ফরম এর
pdf ডাউনলোড করতে পারবে।
অঙ্গীকারনামা কি কোর্টে বৈধ?
হ্যাঁ অঙ্গীকারনামা আইনি দলিল কোর্টে বৈধ যদি নোটারি করা থাকে।
অঙ্গীকার নামার ইংরেজি নাম কি?
অঙ্গীকার নাম্বার ইংরেজি নাম হল undertaking বা affidavit.
শেষ কথা:অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টর
উপরে আমরা অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম গার্মেন্টস সহ সকল সেক্টরের সম্পর্কে জানলাম।
যা থেকে আমরা বুঝতে পারি গার্মেন্টস সহ সকল ক্ষেত্রে অঙ্গীকার নামার
গুরুত্ব। অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তির
বিশ্বস্ততা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায় । উপরে আমরা অঙ্গীকারনামা কি, অঙ্গীকারনামার
উদ্দেশ্য।
অঙ্গীকারনামার কোথায় করতে হয়, অঙ্গীকারনামার লেখার নিয়ম,
অঙ্গীকারনামার বৈশিষ্ট্য ও অঙ্গীকারনামা কত টাকার স্ট্যাম্পে হয়
ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যা থেকে আশা করি আপনারা উপকৃত
হয়েছেন। আমাদের ওয়েবসাইটের প্রতিদিনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।
.webp)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url