চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা-চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য । চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য  অনেক উপকারিতা রয়েছে । তবে এর অনেক অপকারিতা আছে। 

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা-চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চলেছি। চলুন তাহলে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

পেইজ সূচি : চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

 চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী ভেষজ গুণসম্পন্ন একটি হার্ব । এটি আমাদের শরীরের নানান উপকারিতা বয়ে আনে। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে আমাদের শরীলের অনেক রোগ নিরাময়ের সাহায্য করে এই চিয়া সিড। চিয়া সিড আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে, হৃদপিণ্ড ভালো রাখে, দোয়া ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী, ডায়াবেটিস ভালো করে।

রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, হজম সমস্যা ভালো করে ও  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ইত্যাদি। এছাড়াও অনেক উপকারী গুন গুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। চিয়া সিড এর উপকারিতা থাকলেও অতিমাত্রায় খেলে বা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম না মানলে উপকারিতা পরিবর্তে অপকারিতা হতে পারে। এজন্য আমাদের চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে।

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানলে অবশ্যই এ থেকে উপকার পেতে পারবেন। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বিভিন্ন রোগ নিরাময় এর ব্যবহার করে আসছে। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। বিভিন্ন রকমের জন্য রোগের জন্য উপকারী যেমন
  • আমাদের শরীরের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • হজমে সহায়তা করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • রক্তের শর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
  • শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে
  • শরীরের বিভিন্ন দেখায় ব্যথায় কাজ করে
  • হার্টের সমস্যা ভালো করে
  • যৌবন ধরে রাখে
  • গ্যাসের সমস্যা দূর করে 
  • শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • রক্ত স্বল্পতা দূর করে 
  • কিডনির সমস্যা দূর করে 
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় 
  • ভালো ঘুমের জন্য উপকারী 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে 
  • শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে 
এছাড়াও চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে যা আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। চিয়া সিড

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  যা আমাদের শরীরে রোগ  প্রতিরোধ ক্ষমতা  বৃদ্ধি করে। চিয়া সিড আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। এবং আমাদের শরীরকে শক্তিশালী ও কর্মক্ষম রাখে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকারিতা দেয। চিয়া সিড থাকা পুষ্টি  উপাদান আমাদের শরীরে রক্তনালী কে ভালো রাখে। চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে  ফাইবার যা আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের রক্তচাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়াও রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের রক্ত নালীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও চিয়া সিড রয়েছে  অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের প্রদাহ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে। প্রতি দিন চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে আমাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এটি আমাদের খাবার পড়ে রক্তে শর্করার শোষণের মাত্রা ধীরে করে।

হার্টের সমস্যায় চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে আমাদের হার্টের সমস্যা দূর করা একটি। চিয়া সিডে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অনেক পুষ্টি বিদ দাবি করেন কেউ যদি নিয়মিত চিয়া সিড খায় তাহলে তার হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চিয়া সিড এর উপকারিতা 

চিয়া সিড এ থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও উপকারী ভিটামিন ও মিনারেল যা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চিয়া সিড আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ ও হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। এজন্য যারা হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত চিয়া সিড খেলে হাড় ক্ষয় রোধে উপকার পাবেন।

ওজন কমাতে চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের শরীরের ওজন কমাতে খুব ভালো কার্যকরী। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। চিয়া সিডে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে ভালো কাজ করে।
 
বিশেষ করে যারা ডায়েট করেন অথবা শরীরের ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য চিয়া সিড উপকারি হতে পারে। চিয়া সিডে আছে ফাইবার যা আমাদের খিদে কমিয়ে দেয় যার ফলে সহজেই আমরা আমাদের ওজন কমাতে পারি। এজন্য যারা ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন এতে দ্রুত ওজন কমে যাবে। প্রতি দিন সকালে চিয়া সিড খেলে সারাদিন পেট ভরা থাকে ফলে খিদের প্রতি চাহিদা অনেকটা কমে যায়।

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম 

চিয়া সিড আমাদের শরীরের ওজন কমাতে কার্যকরী তবে ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম আছে এই নিয়ম মেনে চিয়া সিড না খেলে আমাদের শরীরের ওজন কমা দূরের কথা বরং আমাদের শরীরের জন্য অপকারিতা ডেকে আনতে পারে। এছাড়াও চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ভালো ভাবে পেতে হলে সঠিক নিয়মে চিয়া সিড খেতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। 

এতে আমাদের ঘুম ভালো হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ওজন কমাতে ভালো কাজ করে। চিয়া সিড রাতে ঘুমানোর আগে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পানি সহ চিয়া সিড খেতে পারেন এতে ভালো উপকার পাবেন। চিয়া সিড ও লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে ‌। এছাড়াও আপনি চাইলে চিয়া সিড এর সাথে লেবু ও বিভিন্ন ফল দিয়ে সরবত বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে গরমে শরীর ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ওজন কমবে। চিয়া সিড সালাদের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডের উপকারিতা

চলুন গর্ভাবস্থায়  চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক। চিয়া সিডে থাকা পুষ্টি উপাদান গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই উপকারী। চিয়া সিডে রয়েছে আয়রন যা গর্ভবতী মায়ের রক্ত স্বল্পতা দূর করে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে, গর্ভবতী মায়ের ক্লান্ত শরীরে শক্তি যোগায়। চিয়া সিড রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যা গর্ভবতী মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।

গর্ভে থাকা শিশুর শরীর গঠনে সহায়তা করে, শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে কাজে লাগে, গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও খুদাকে কম করে ইত্যাদি উপকার পাওয়া যায়। গর্ভবতী মা যদি নিয়মিত চিয়া সিড খায় তাহলে গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই ভালো উপকার মিলবে।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম 

চিয়া সিড একটি খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ ভেষজ হারব। যা গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। তবে চিয়া সিড থেকে ভালো উপকার পেতে হলে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে। গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও চিয়া সিড এর ভুল ও অতিরিক্ত ব্যবহার গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য গর্ভবতী মায়েদের চিয়া সিড সতর্কতার সাথে খেতে হবে। খুব ভালো হয় যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড খাওয়া যায়। এজন্য গর্ভবতী মায়ের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে।

যৌবন ধরে রাখতে চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের যৌবন ধরে রাখতে কার্যকরী। চিয়া সিড কে অ্যান্টি এজিং ফ্রুট ও বলা হয়ে থাকে। চিয়া সিডে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল এর বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ফ্রি রেডিক্যাল আমাদের শরীরের কোষ গুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। চিয়া সিড এই ফ্রি রেডিক্যালকে বাঁধা প্রদান করে আমাদের শরীরের কোষগুলোকে অকাল ধংসের হাত থেকে রক্ষা করে। 

রক্ত স্বল্পতা দূর করতে চিয়া সিড এর উপকারিতা 

রক্ত স্বল্পতা দূর করতে চিয়া সিড খুব কার্যকরী। চিয়া সিডে থাকা প্রচুর পরিমাণে আয়রন আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে রক্ত স্বল্পতার হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। এছাড়াও চিয়া সিডে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের রক্তের গুণগত মান ঠিক রাখতে ও নতুন রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। এজন্য যারা রক্ত স্বল্পতায ভুগছেন তাদের নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়া উচিত। তবে অবশ্যই চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে তাহলে ভালো উপকার পাবেন।

পেটের সমস্যা দূর করতে চিয়া সিড এর উপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের নানান পেটের সমস্যা দূর করতে পারে। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের পেটের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করে, হজম শক্তি উন্নতি করে ও পেটে থাকা বিভিন্ন উপকারি ব্যাকটেরিয়াকে ভালো রাখে। সুতরাং নিয়মিত সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে আমাদের পেটের সমস্যা দূর হওয়ার সাথে সাথে আমাদের হজম শক্তিও উন্নতি ঘটে। তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আছে। অতিরিক্ত মাত্রায় চিয়া সিড খেলে উপকারিতার পরিবর্তে অপকারিতা হতে পারে।

ত্বক ও চুলের যত্নে চিয়া সিড এর উপকারিতা

আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নে চিয়া সিড খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। সিয়া সি আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ও আমাদের মুখের বয়সের ছাপ দূর করতে পারে। চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

চিয়া সিড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আপু ও ভিটামিন সি আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে তোকে উজ্জ্বল করে এবং আমাদের শরীরের কোষ কে ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে। চিয়া সিড থাকা আন্টি ইনফরমেটরি উপাদান আমাদের ত্বকের প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে। বিশেষ করে যাদের মুখে ব্রনের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত চিয়া সিড খেলে ব্রনের সমস্যায় অনেকটা উপকার  মিলবে।

চুলের যত্নে চিয়া সিড ব্যবহারের নিয়ম


আপনি চাইলে আপনার চুলের যত্নে চিয়া সিড ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে, চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। আপনি চাইলে অনেক সহজেই ঘরে বসে চিয়া সিড এর এর হেডমাক্স বানিয়ে ফেলতে পারবেন। প্রথমে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে নিন। চিয়া সিড জেলির মতন হয়ে গেলে ছয় চা চামচ নারকেল তেল ও ২ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ভালো করে একসাথে মিশিয়ে নিন। 

পরবর্তীতে এই মিশ্রণটি ৩০ সেকেন্ড জন্য জাল দিন। তৈরি হয়ে গেল আপনার কাঙ্খিত চিয়া সিড এর হেয়ার মাস্ক । এরপর এই উপকরণটি চুলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে চুলে শ্যামপু করতে পারেন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার চিয়া সিড এর হের ম্যাক্স করলে আপনার চুলের জন্য বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকৃত হবেন। এটি আপনার চুলকে মজবুত ও উজ্জ্বল করবে।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম 

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে এ থেকে আমরা ভালো উপকার পেতে পারি। আপনি বিভিন্নভাবে চিয়া সিড খেতে পারেন। আপনি চাইলে চিয়া সিড সালাদ এর সাথে খেতে পারেন এতে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের নানান পুষ্টিক চাহিদাও পূরণ হবে। গরমের সময় চিয়া সিড এর শরবত বানিয়ে খেলে শরীর ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো উপকার পাবে। নিয়মিত সকালের নাস্তাই ওটস এর সাথে চিয়া সিড যোগ করতে পারেন।

প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ চিয়া সিড খেতে পারেন। এটি আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট চিয়া সিড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্ট এক্সিডেন্ট, ওমেগা থ্রি ফাটি এসিড, জিংক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ফসফরাস ও ফাইবার ইত্যাদি উপাদান পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের নানান রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

শরবত বানিয়ে

আপনি চাইলে চিয়া সিড ও শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে চিয়া সিড এর সাথে লেবুর রস, বিট লবণ ও অন্যান্য ফল কুচি করে কেটে একসাথে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।

পানির ও দুধের সাথে

আমরা অধিকাংশসবসময়চিয়া সিড পানি অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকি। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে দেওয়া হয় পরের দিন সকালে সেই পানি খাওয়া হয় এছাড়াও আমরা চাইলে এক গ্লাস দুধের সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারি এতে আমাদের শরীরে নানান  উপকার মিলবে।

ফালুদা করে

চিয়া সিড এর ফালুদা করে খাওয়াতে পারে যেতে পারে। প্রথমে এক গ্লাস পানিতে চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখতে হবে পরবর্তীতে চিয়া সিড জেলির আকার ধারণ করলে সেটার সাথে বিভিন্ন ফল, দই কিংবা আইসক্রিম মিশিয়ে ফালুদা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

খাবারের সাথে মিশিয়ে

আপনি চাইলে বিভিন্ন খাবারের সাথে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য চিয়া সিড খেতে পারেন। চিয়া সিড এর নিজস্ব কোন স্বাদ বা গন্ধ নেই ।চিয়া সিড সরাসরি গরম খাবারে না দেওয়াই ভালো এতে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে দেওয়া যেতে পারে।

চিয়া সিড শুধু চিবিয়ে

পরিমাণ মতো চিয়া সিড শুধু চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা কোন খাবারের সাথে মিশিয়েও খেতে পারে।এছাড়াও চিয়া সিড সালাদের সাথে খেতে পারেন। বিভিন্ন ফল দিয়ে সালাদ তৈরি করার পর তাতে কিছু পরিমাণ চিয়া সিড যোগ করতে পারে।

পুডিং বানিয়ে

চিয়া সিড এর পুডিং তৈরি করে খাওয়া যায়। পরিমাণ মতন দুধের সাথে কিছু পরিমাণ চিয়া সিড যোগ করে চিয়া সিড এর পুডিং তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও এতে আপনার পছন্দের মত বিভিন্ন ফল ও সবজি যোগ করতে পারে এতে পুডিং স্বাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো উপকার পাবে পাবেন।

এনার্জি বল হিসেবে

চিয়া সিড একটি খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। এই চিয়া সিড এর সাথে আরও বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার যোগ করতে পারেন এতে শরীরে প্রচুর শক্তি বৃদ্ধি পাবে ও কর্ম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। চিয়া সিড এর সাথে বাদাম, ওটস, খেজুর, তিন ফল ও আখরোট ইত্যাদি পুষ্টিকর ফল যোগ করলে এর পুষ্টি গুণ আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। উপরে আমরা চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। চলুন এবার চিয়া সিড এর অপকারিতা সম্পর্কে কিছু জেনে আসুন আসা যাক। চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য নানান দিক দিয়ে উপকারিতা থাকলেও চিয়া সিড এর অতিরিক্ত ব্যবহার ও চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম না মানলে উপকারের পরিবর্তন ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায় ।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

চিয়া সিড ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়া অপকারিতা ডেকে আনতে পারে। চিয়া সিড খেলে আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যায় ফলে চিয়া সিড ডায়াবেটিস রোগীরা দীর্ঘদিন ধরে খেলে বা অতিরিক্ত খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেয়ে লো প্রেসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

ক্যান্সারের জন্য চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে আমাদের  পোস্টেড ক্যান্সার ও অন্যান্য ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। এজন্য আমাদেরকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে এবং অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খুব ভালো হয় যদি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড খাওয়া হয়।

ওজন কমাতে চিয়া সিড এর অপকারিতা

চিয়া সিড আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে আমাদের শরীলের ওজন খুব বেশি কমে যেতে পারে। এর ফলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখার দিতে পারে যেমন খোদা কমে যাওয়া, শরীর দুর্বল হয়ে পড়া ও শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি উপাদান না পাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রক্ত পাতলা করার সমস্যা

চিয়া সিড আমাদের শরীরের রক্তকে পাতলা করতে পারে। অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে আমাদের শরীরের রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যায় ফলে আমাদের শরীরের রক্ত চাপ কমে যাওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। এজন্য চিয়া সিড পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।

পেটের সমস্যায় চিয়া সিড এর অপকারিতা 

অনেকেই চিয়া সিড পেটের সমস্যা ও হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য খেয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ চিয়া সিড খেলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে বা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম না মানলে আমাদের শরীরে এলার্জি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা যেতে পারে। চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। এজন্য সঠিক নিয়মে চিয়া সিড খেলে আমরা যেমন উপকার পাবো। ঠিক তেমনি চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম না মানলে অপকারিতা হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড খাওয়া হয়।

চিয়া সিড কি

চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণের কারণে একে সুপার ফ্রুট বলা হয়। চিয়া সিড হলো এক ধরনের ওষুধ বীজ যা প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করে আসছে। চিয়া সিড এর নিজস্ব কোন স্বাদ বা গন্ধ নেই। চিয়া সিড বীজের গাছের জন্ম মেক্সিকোতে। এটি মূলত একটি salvia hispanica নামক প্রজাতির একটি গাছের বীজ। প্রাচীনকালে চিয়া সিড মায়া সভ্যতার খাবার ছিল। চিয়া সিড শরীরে শক্তি বৃদ্ধির গুণের জন্য তারা এঁকে গুরুত্ব সহকারে খেত। চিয়া শব্দটি মায়া সভ্যতা থেকে যার অর্থ শক্তি।

চিয়া সিড এর বাংলা নাম

চিয়া সিড একটি ঔষধি গুণ সম্পূর্ণ বীজ। বাংলা ভাষায় যাকে বলা হয় চিয়া তন্ত বা চিয়া বীজ। চিয়া সিড কে আমরা আরো অনেক নামে চিনে থাকি যেমন পুষ্টি বীজ বা শক্তি বীজ। তবে বাংলাদেশে কৃষি ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মতে চিয়া সিড এর নাম চিয়া বীজ রাখা হয়েছে। এই বীজকে অনেকেই তোকমা দানা ভেবে ভুল করে। তবে এটি তোকমা দানা নয়।

চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা ভালো ভাবে বোঝের জন্য চিয়া সিড এর পুষ্টি গুণ সম্পর্কে জানতে হবে। চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য একটি পুষ্টির সামনেই তো খাবার সমৃদ্ধ খাবার যা আমাদের শরীরের নানান পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। চিয়া সিডে রয়েছে কলার থেকেও ২ গুন বেশি পটাসিয়াম, মুরগির ডিমের চেয়েও ৩ গুন বেশি প্রোটিন, কলার থেকেও ৭ গুন বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের থেকে ৩ গুন বেশি আয়রন, দুধের চেয়ে ৫ গুন বেশি ক্যালসিয়াম।

১০০ গ্রামে চিয়া সিড পুষ্টিগুণ রয়েছে
  • ক্যালোরি ৪৮৬
  • পটাশিয়াম ৪০৭ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম
  • ফাইবার ৩৪ গ্রাম
  • চর্বি ৩০ গ্রাম 
  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড 
  • ক্লোরোজেনিক এসিড 
  • ক্যাফিক এসিড 
  • অ্যান্টি অক্সিডেন্ট 
  • আয়রন 
  • কোয়েরসেটিন
  • কার্বোহাইড্রেট ৪২ গ্রাম 
  • প্রোটিন ১৬ গ্রাম 
  • পানি ৬ গ্রাম 
  • জিংক 

চিয়া সিড আর তোকমা কি এক

না চিয়া সিড আর তোকমা দানা এক নয় । যেহেতু তোকমা দানা ও চিয়া সিড দেখতে অনেকটা এক এজন্য অনেকেই চিয়া সিড কে তোকমা দানা ভেবে ভুল করে। তবে তোকমা দানা ও চিয়া সিড বীজ সম্পূর্ণ ভীন্ন। চিয়া সিড দেখতে সাদা অন্যদিকে তোকমা দানা দেখতে পুরো পুরি কালো। চিয়া সিড এর আকার তোকমা দানার আকারের তুলনায় তুলনা মূলক ছোট। তোকমা দানা পানিতে ভেজালে জেলির মত ফুলে ওঠে। অন্যদিকে চিয়া সিড পানিতে ভেজালে চারপাশে জেলির মতো স্তর তৈরি করে। 

চিয়া সিড কারা খেতে পারবে না

চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আছে। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে চিয়া সিড খাওয়া অপকারিতা বয়ে আনতে হয়। চিয়া সিড আমাদের শরীরে রক্তকে পাতলা করে এজন্য যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও চিয়া সিড রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের রক্তকে পাতলা করে। 

এজন্য নিম্ন রক্তচাপ রোগীদের চিয়া সিড খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। চিয়া সিড আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো তবে শর্করার মাত্রা শরীর থেকে অতিমাত্রায় কমে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। এজন্য যারা নিয়মিত ইনসুলিন নিচ্ছেন তাদের চিয়া সিড খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

আসল চিয়া সিড চেনার উপায়

চিয়া সিড থেকে ভালো উপকার পেতে হলে আমাদের অবশ্যই বাজার থেকে আসল চিয়া সিড কিনে খেতে হবে। কেননা আমরা অনেক সময় চিয়া সিড নামে অন্য বিজ কিনে থাকি অথবা বাজার থেকে নিম্নমানের চিয়া সিড কিনি যার ফলে আমরা চিয়া সিড থেকে ভালো প্রকার পাই না উপকার পায় না। তবে আসল চিয়া সিড চেনার কিছু উপায় আছে। আসল চিয়া সিট সব সময় ঝড়ঝড়া ও ফ্রেশ হয়ে থাকে। 

আসল চিয়া সিট এর দানা একটি সাথে আরেকটি লেগে থাকে না। এতে কখনোই বালি অথবা ময়লা আবর্জনা মিশে থাকবে না চিয়া সিড থাকবে সম্পূর্ণ পরিষ্কার। চিয়া সিড কোন খারাপ গন্ধ থাকবে না।কাল চিয়া সিড তুলনায় সাদা চিয়া সিড এন্ড অক্সিডেন্টের এর পরিমাণ বেশি থাকায় সাদা চিয়া সিড তুলনায় কালো দাম একটু বেশি হযে থাকে।

চিয়া সিড দাম

আমাদের ভেতর অনেকেই চিয়া সিড এর দাম সম্পর্কে জানতে চাই। চিয়া সিড এর দাম সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এই দাম গুলো স্থায়ী নয়। স্থান ও সময় ভেদে এই দামের পরিবর্তন হতে পারে। তবে বাজার থেকে অবশ্যই আসল ও ভালো মানের চিয়া সিড দেখে কিনবেন।

উপসংহার 

উপরের পোস্ট থেকে আমরা চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। যা থেকে আমরা বুঝতে পারি চিয়া সিড  খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয় আর চিয়া সিড খেলে কি কি অপকারিতা হয় । চিয়া সিড খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারিতা রয়েছে।

তেমনি চিয়া সিড এর কিছু ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে যা আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জেনেছি। সঠিক ভাবে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানতে এ থেকে অবশ্যই উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে যারা কোন না কোন রোগে আক্রান্ত আছেন তাদের চিয়া সিড খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url