গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতা

কবুতরের মাংসের উপকারিতা 


সুস্বাদু খাবার কবুতরের মাংস।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য এর চাহিদাও অনেক। গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতা


কবুতরের মাংসে রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ।এটি নানান দিক দিয়ে শরীরের জন্য উপকারী। কবুতরের মাংস আমাদের বুদ্ধি ও স্মৃতি শক্তি বাড়াতে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
কবুতরের মাংসে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল যা আমাদের নানান পুষ্টি চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। শরীরের দূর্বলতা দূর করতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খেলে মা ও শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। দৃষ্টি শক্তি হাড়ের বিকাশে সহায়তা করে। কবুতরের মাংসে কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় এটি অনান্য প্রাণীর মাংসের তুলনায় কম ক্ষতিকর। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স,আয়রন,জিংক ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকায় গর্ভবতী মায়ের সব ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। এতে থাকা ফলিক এসিড আমাদের পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিতে কাজ করে। 

কবুতরের মাংসের ক্ষতিকর দিক


কবুতরের মাংসে যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এগুলো আমাদের জানা উচিত।
গর্ভবতী নারী, শিশু ও হৃদরোগীদের  চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিৎ। মাংস তুলনা মূলক শক্ত হওয়ার কারণে অনেকের হজমের সমস্যা হতে পারে। কবুতরের মাংসে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকে (১০০ গ্রামে ১১৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে) যা হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

 কবুতরের মাংসে কি এলার্জি আছে


কোনো কোনো মানুষের শরীরে কবুতরের মাংসের প্রতি এলার্জি  দেখা দিতে পারে।যাদের কবুতরের মাংসের প্রতি অ্যালারজি আছে তাদের এই মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কবুতরের মাংস খাওয়ার পর যদি শরীরে চুলকানি বা ফুসকুড়ি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা পেটের কোন সমস্যা লক্ষ্য করেন তাহলে সম্ভবনা আছে কবুতরের মাংসে তার এলার্জি  আছে।


গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতা



গর্ভাবস্থায় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করা খুবই প্রয়োজনীয়। গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়া যেতে পারে তবে সঠিক ভাবে রান্না করা গুরুত্বপূর্ণ।
কবুতরের মাংসে প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা গর্ভাবতী মায়ের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
এতে থাকা পুষ্টি উপাদান ভরনের বিকাশে ভূমিকা রাখে।
মায়ের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নবজাতকের সুস্থ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
কবুতরের মাংসে অন্যান্য মাংসের তুলনায় কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে না।
গর্ভকালীন মায়ের হাড় মজবুত রাখতে এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তাছাড়া গর্ভাবস্থায় কবুতরের মাংস খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে।

কবুতরের মাংসের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম কবুতরের মাংসে পাওয়া যায়
ক্যালসিয়াম:১%
ভিটামিন সি:৪%
ভিটামিন ডি:১%
ম্যাগনেসিয়াম:৬%
পটাশিয়াম:২৫৬%
প্রোটিন:২৪ গ্রাম
ফ্যাট:১৩ গ্রাম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url