স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার সেরা ১০ টি নাইট ক্রিম দ্রুত কার্যকারী ফলাফল

আসল শিলাজিৎ চেনার উপায়

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম কি? আমাদের ভেতরে অনেকেই স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। আবার অনেকেই স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম মেয়েদের সম্পর্কে জানতে চাই। তবে আমরা জানি না এটা আমাদের তাদের জন্য কতটা উপকারী বা ক্ষতিকর। তবে বাজারে এমন অনেক নাইট ক্রিম আছে যার মাধ্যমে আমরা স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে পারি।

নাইট ক্রিম মূলত রাতের বেলা ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, নাইট ক্রিম আমাদের ত্বককে মসৃণ উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে। আমাদের ত্বক রাতে ঘুমের সময় সবচেয়ে বেশি পুনর্জীবিত ও পুনঃনির্মাণ হয়। কেননা রাতে আমাদের ঘুমের সময় শরীরের সবচেয়ে বেশি গ্রোথ হরমোন তৈরি হয়। আর এই গ্রোথ হরমোন আমাদের বিভিন্নভাবে উপকারিতা দেয়।

ত্বক ফর্সা করার নাইট ক্রিম কোনগুলো? মেয়েরা সাধারণত ফর্সা হওয়ার জন্য ভালো একটি নাইট ক্রিম খুঁজে থাকে। তবে মেয়েদের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম ছেলেদের ও আছে। ত্বক ফর্সা করার অনেকগুলো ফর্সা হওয়ার ডাক্তার নাইট ক্রিম রয়েছে তবে আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বাজারে পাওয়া সব থেকে ভালো নাইট ক্রিম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো। নিচে ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম গুলোর নাম ও ছবি দেওয়া হল:

ইউজা হচ্ছে কোরিয়াতে পাওয়া যাওয়া এক ধরনের ফল। এই ফলের রস থেকে তৈরি হয় এই ব্রাইটেনিং স্লিপিং মাস্ক নাইট ক্রিম । আর এই নাইট ক্রিমটি আমাদের ত্বক ফর্সা করতে ভালো কার্যকরী। ব্রাইটেনিং স্লিপিং মাস্ক নাইট ক্রিমে থাকা উপাদান যা আমাদের ত্বকের জন্য বিভিন্নভাবে উপকারী। 

এই ব্রাইটেনিং স্লিপিং মাস্কে উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে: আরবুটিন, ইয়ুজা এক্সট্র্যাক্ট , পিপারমেন্ট লিফ অয়েল ,নিয়াসিনামাইড ,জোজোবা সিড অয়েল ,বায়োটিন ও এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ সহ আরো ১২ প্রকার মাল্টি ভিটামিন।

• এতে থাকা অ্যান্টি রিংকেল উপাদান ত্বকের রিংকেল দূর করতে সাহায্য করে।
• নিয়াসিনামাইড ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে এবং পোরস ছোট করতে কার্যকরী।
• ক্রিমে রয়েছে নিয়াসিনামাইড যা ত্বকের ডার্ক স্পট কমাতে পারে।
• ক্রিমটিতে রয়েছে ইউজা এক্সট্র্যাক্ট যা আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে।ক্রিমে থাকা জোজোবা সিড অয়েল উপাদান আমাদের ত্বকের স্কার বা কালো দাগ দূর করতে পারে এবং আমাদের ত্বককে করে উজ্জ্বল ও কোমল।
• এতে থাকা উপাদান আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর ইউ ভি (uv) রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
• এই নাইট ক্রিমের থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের মুখের ব্রণ দূর করতে ভালো কাজ করে।
• বায়োটিন উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

মামাআর্থ ওভারনাইট রিপেয়ার

যারা ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম খুঁজছেন তাদের জন্য মামাআর্থ ওভারনাইট রিপেয়ার নাইট ক্রিম আমাদের ত্বকের জন্য ভালো একটি নাইট ক্রিম হতে পারে। যারা উজ্জ্বল ত্বকের নাইট ক্রিম খুঁজছেন তাদের জন্য একটি ভালো অপশন হতে পারে। 

এই ক্রিমটি আপনি আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। মামাআর্থ ওভারনাইট রিপেয়ার উপাদান ও উপকারিতা শিয়া বাটার,গ্লিসারিন, ভিটামিন ই, ডেইজি ফ্লাওয়ার এক্সট্র্যাক্ট,অ্যালমন্ড অয়েল ,স্যাফরন এক্সট্র্যাক্ট ও অ্যাকুয়া উপাদান যা আমাদের ত্বকের জন্য ভালো।

• এতে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে ও ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ বের করে।
• অ্যান্টি ব্যাকটরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
• নাইট ক্রিমটিতে রয়েছে অ্যালমন্ড অয়েল যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
• নাইট ক্রিমে থাকা স্যাফরন বা জাফরানের উপাদান ত্বক থেকে ডাক স্পট দূর করে ও পিগমেন্টেশন দূর করে।
• ডেইজি ফুলের রস আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত মেলানিন কমাতে সাহায্য করে।
• গ্লিসারিন উপাদান ত্বককে হাইড্রেট ও কোমল করে।
• শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম।

দ্য বডি শপ ভিটামিন ই নাইট ক্রিমে রয়েছে হুইট অয়েল , কোকোয়া বাটার , ভিটামিন ই , হায়ালুরনিক এসিড ,অ্যাকুয়া ,গ্লিসারিন ইত্যাদি উপাদান। যা আমাদের ত্বক কে নানান দিক দিয়ে উপকার করে। আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম এটি ।

• এতে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বক থেকে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ দূর করে ও ত্বককে হাইড্রেড রাখে।
• হায়ালুরনিক এসিড আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে ও রিংকেল দূর করে।
• হুইট যার্ম অয়েল ত্বকের ডার্ক স্পট ও পিগমেন্টেশন দূর করে।
• কোকোয়া বাটারে থাকা ফ্যাটি এসিড আমাদের স্কিন ইলাস্টিসিটিকে বাড়ায়।

এটি একটি সেনসিটিভ স্কিনের জন্য ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম। এই নাইট ক্রিম এ রয়েছে ভিটামিন বি ,ভিটামিন সি ,ভিটামিন ই ,ল্যাকটিক এসিড ,সোডিয়াম ল্যাকটেড ও হাইড্রোঅক্সাইড গ্লিসারিন ইত্যাদি উপাদান। এটা দেখা ভিটামিন বি ৫ ত্বকে কোমল ও মসৃন করে। আমাদের ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন, ডার্ক স্পট দূর করতে পারে। আমাদের ত্বকে হাইড্রেট রাখে। ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে।

এটি একটি অরজিনাল ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম। যা আমাদের ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করে। আপনারা যারা অ্যান্টি এজিং এর জন্য ক্রিম খুঁজছেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো অপশন হতে পারে।

আরেকটি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম হলো: ডার্ক অ্যান্ড লাভলি হোয়াইটিং নাইট ক্রিম। থাকা উপাদান ত্বককে ময়েশ্চারাইজ ও ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ভালো কাজ করে। এছাড়াও বিভিন্নভাবে এটা আমাদের জন্য উপকারী।

এটি একটি রাসায়নিক ছাড়া ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম। এলোভেরা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই অ্যালোভেরা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দ্য বডিশপ অ্যালো সুদিং নাইট ক্রিম বিশেষ করে যাদের ত্বক খুবই সেনসেটিভ তাদের জন্য এই ক্রিমটি খুবই উপযোগী । এছাড়াও এই নাইট ক্রিমটি সম্পূর্ণ ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও অ্যালকোহল ফ্রী। 

এই ক্রিমের মূল উপাদান হলো গ্লিসারিন, সিসিমেল অয়েল ও অ্যালোভেরা জেল। এর উপকারিতা নিচে দেওয়া হল:দ্য বডিশপ অ্যালো সুদিং নাইট ক্রিম রয়েছে অ্যালোভেরা জেল যা আমাদের ত্বককে কোমল ময়েশ্চারাইজড করে। সেরা নাইট ক্রিমের রিভিউ তালিকায় এটি রয়েছে।

• সূর্যের আলো থাকা ইউভি রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে।
• সিসেমে অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের ব্রণ দূর করতে ভালো কাজ করে।
• আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড করে।
• ব্রণের কারণে হওয়া ডার্ক স্পট দূর করে।
• আমাদের ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে ইত্যাদি।

আপনি যদি ত্বকের দাগ হীন করার নাইট ক্রিম খুঁজছেন তাহলে এই ক্রিমটি আপনার উপকারে আসতে পারে। এই ক্রিমটি রাতে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকে রুক্ষতা শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। যারা শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম খুঁজছেন 

check price

তারা এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন আশা করি উপকার পাবেন। এই ক্রিমটি আমাদের ত্বকে নরম ও মশ্চারাইজার করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের ত্বকের জমে থাকা ময়লা ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। ফলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।

যারা ফর্সা হওয়ার সেরা নাইট ক্রিম খুঁজছেন তাদের জন্য পিউরিটি হোয়াইটেনিং নাইট ক্রিমটি সেরা অপশন হতে পারে। এটি ত্বকে কালো দাগ দূর করে, সানট্যান ও ত্বকের অমসৃণতা দূর করে। এতে থাকা সিইভি , গ্লাইকোলিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের সেলকে রিজেনারেশন করে , ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করতেও ভালো উপকারী।

আপনি যদি ত্বক ফর্সা হওয়ার সেরা নাইট ক্রিম অথবা উজ্জ্বল ত্বকের নাইট ক্রিম খুঁজছেন তাহলে এই ক্রিমটি আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের মুখ থেকে কালো তার দূর করে ও ব্রণের কারণে হওয়া দাগ দূর করে।

আমাদের ত্বক ফর্সা, উজ্জ্বল ও সুন্দর করার জন্য শুধুমাত্র নাইট ক্রিম ব্যবহার করাই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আমাদের কিছু উপাদান বা সিরাম ব্যবহার করা আবশ্যক। এমন কিছু সিরাম আছে যা আমাদের স্কিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

এই সিরাম গুলো ছেলে অথবা মেয়ে সবাই ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন তাহলে স্থায়ীভাবে ফর্সা , উজ্জ্বল ও সুন্দর প্রাণবন্ত স্কিনের জন্য কিছু সেরা সিরাম সম্পর্কে আলোচনা করা যাক:

• রেটিনাল
• নায়া সিরামাইড
• লাইট ওয়েট নায়া সিরামাইড
• স্যালিসালিক অ্যাসিড
• আজেলিক অ্যাসিড
• হাইয়ালারোনিক অ্যাসিড ( hyaluronic acid )
• ভিটামিন সি সিরাম ( vitamin c serum)
• সানস্ক্রিম ইত্যাদি।

নাইট ক্রিমের উপকারিতা কি? আমরা অনেকেই স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করে থাকে। তবে আমরা অনেকেই ওই প্রোডাক্টের উপকারিতা বা ক্ষতিকার সম্পর্কে জানে না। নাইট ক্রিম এর ত্বকের জন্য নানান দিক দিয়ে উপকারী হতে পারে যদি সঠিকভাবে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা হয়। চলুন তাহলে নাইট ক্রিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আশা যাক ।

• স্কিনকে গভীর ভাবে ময়েশ্চরাইজিং করে।
• ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত বা মৃত কোষ কে দূর করে।
• ত্বকের মেরামত ও গঠন দ্রুত হয়।
• ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
• ত্বকের ইলাস্টিসিটিকে বাড়িয়ে ত্বকে টানটিনে করে।
• স্কিনে ব্রণের কারণে হওয়া কালো দাগ দূর করে।
• ডার্ক স্পট দূর করে।
• যে কোন ধরনের দাগ দূর করে।
• ব্রনের সমস্যা ভালো করে।
• স্কিনে বয়সের ছাপ দূর করে।
• স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে সাহায্য করে।

নাইট ক্রিমের পুষ্টি উপাদান সমূহ:

আমাদের ভেতর অনেকেই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম, ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি নাইট ক্রিম, অথবা ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম খুঁজে থাকি। নাইট ক্রিম আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতাকে কিছুটা বাড়িয়ে থাকে তবে এটি আমাদের ত্বকে সরাসরি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে পারে না। স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য শুধু নাইট ক্রিম ব্যবহার করাই যথেষ্ট নয় এর সাথে সাথে ত্বকের পরিচর্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

নাইট ক্রিম আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে, স্বাস্থ্যকর ও সতেজ রাখে। রাতে নাইট ক্রিম মুখে মেখে ঘুমালে আমাদের ত্বকের কোষগুলো পুনর্জীবিত ও পূর্ণ নির্মাণ হয়ে যায়। কেননা ঘুমালে আমাদের শরীরে ত্বকের কোষ গঠন ও মেরামতের হরমোন গুলো ভালো কাজ করে। নাইট ক্রিমে থাকাও উপাদান গুলো আমাদের সানট্যান থেকে রক্ষা করে, মুখের দাগ দূর করে ত্বকের রুক্ষতা কমায় ও মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।

আরো পড়ুন: জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
আরো পড়ুন: আসল তালমিছরি চেনার উপায়-তালমিছরি খাওয়ার অপকারিতা ও উপকারিতা
আরো পড়ুন: পাঙ্গাস মাছে কি এলার্জি আছে ও এর উপকারিতা ও অপকারিতা

নাইট ক্রিমে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের মুখের দাগ দূর করে মুখ ফর্সা করে। হাইড্রোকিনন উপাদান ত্বককে টানটান করে। এই উপাদানগুলো প্রাকৃতিক ভাবে গ্লো করতে সাহায্য করে ও ত্বকের কোষ গঠন ও মেরামত করে ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বৃদ্ধি করে। এতে থাকা আলফা আর্বুটিন ও গ্লাইকোলিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের মৃত কোষকে তুলে ফেলে ও ত্বকের রিসাইকেল প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।

রাতে নাইট ক্রিম মাখার উপকারিতার জন্য অনেকেই ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম খুঁজে থাকেন। ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম অনেক রয়েছে তবে আমাদের এগুলো ভালোভাবে কেনার আগে নির্বাচন করতে হবে। তাছাড়া অনেকেই ভুল প্রোডাক্ট কিনে ফেলতে পারি।

আমাদের ত্বক ময়েশ্চারাইজ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা ত্বক ময়শ্চারাইজ না থাকলে আমাদের স্কিন শুকিয়ে যেতে পারে ও স্কিনের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। এজন্য আমাদের সঠিক পণ্য ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। একটি ভালো ভালো স্কিন লাইটেনিং নাইট ক্রিম আমাদের স্কিনের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

৭ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম কি? উপরে আমরা ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যেগুলো ব্যবহার করলে আপনারা কিছুদিনের ভেতর এর ফলাফল দেখতে পাবেন। তবে সরাসরি সাতদিনের ভেতর ফর্সা হওয়ার তেমন কোন নাইট ক্রিম নেই।

আমাদের একটি ভালো স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য রাতের যত্নের কোন বিকল্প নেই। দিনে সূর্যের আলোর ইউভি রশ্মি (UV) সরাসরি আমাদের স্কিনে লেগে স্কিন ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। এছাড়াও দিন থেকেও রাতের বেলায় আমাদের ত্বকের কোষ গঠন ও মেরামত দ্রুত হয়।

এজন্য আমরা রাতে ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারি। নাইট ক্রিমে থাকা এমন কিছু উপাদান আমাদের ত্বককে গভীরভাবে উজ্জ্বল করে এজন্য আমাদের ত্বক ফর্সা দেখায়। এতে থাকা ভিটামিন সি, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড , হাইড্রোকিনন ও অ্যালফা আর্বুটিন ইত্যাদি উপাদান আমাদের ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল, কোমল, মসৃণ, টনটনে ও মশারাইজ করে।

এতে থাকা উপাদান কোষকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহের মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের ও পূর্ণজীবিত করে।এছাড়াও রাতে আমরা ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শে খুব কম আসি এজন্য আমাদের ত্বক ধুলোবালি, সূর্যের ক্ষতিকর আলো, ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন দূষিত পদার্থ থেকে রক্ষা পায়।

অনেক মেয়েরা স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম মেয়েদের খুঁজে থাকে। তবে নাইট ক্রিম ছেলেরাও ব্যবহার করতে পারে । স্কিন আমাদের শরীরের ভেতর সবচেয়ে সংবেদনশীল একটি পার্ট। সুতরাং এই স্কিনের জন্য অবশ্যই একটি কেমিক্যাল মুক্ত ভালো ও মানের নাইট ক্রিম নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মানুষের স্কিন টাইপ ভিন্ন হওয়ার কারণে তাদের স্ক্রিনে একই ধরনের সানস্ক্রিম বা নাইট ক্রিম ভালো কাজ করে না। এজন্য আমাদের প্রথমে কার স্কিনটাইপ কেমন সেটা আগে বের করতে হবে তারপর সেই স্কিনটাইপ অনুযায়ী সানস্ক্রিম বা নাইট ক্রিম নির্বাচন করতে হবে।

যেমন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম আলাদা, যাদের ত্বক শুষ্ক বা ড্রাই স্কিন তাদের ক্ষেত্রে নাইট ক্রিমের ধারণা আলাদা ও যাদের স্কিন অতিরিক্ত ঘামে বা সংবেদনশীল তাদের নাইট ক্রিম ও আলাদা হতে হবে তাহলে এ থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য সাধারণত ত্বক ময়েশ্চারাইজিং করে এমন উপাদান সমৃদ্ধ ক্রিম ( গ্লিসারিন অথবা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ) ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়া যাদের অয়েলি স্কিন তাদের ক্ষেত্রে যে ক্রিমগুলো ত্বককে আরো তেলতেলে করে এটা ব্যবহার করা যাবে না।

যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে (বেনজয়েল পারক্সাইড অথবা স্যালিসিলিক অ্যাসিড) বা উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করা উচিত। এতে ব্রণের সমস্যা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। যাদের স্কিন রুক্ষ সুক্ষ, অমসৃণ, বিভিন্ন দাগ, উজ্জ্বল নয়, স্কিনে বয়সের ছাপ পড়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহারে ভালো উপকার পেতে পারেন।

এছাড়াও আমাদের স্কিনের জন্য অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যেমন: রেটিনল ও হাইয়ালারোনিক অ্যাসিড ইত্যাদি।

আমাদের ভেতরে অনেকেই ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে চান। তবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ও নাইট ক্রিম থেকে ভালো ফলাফল পেতে এর সঠিক ব্যবহার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাইট ক্রিম ব্যবহারের অনেকগুলো নিয়ম আছে। নাইট ক্রিম নাম শুনেই বোঝা যায় এটি রাতে ব্যবহার করার জন্য। রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে এটি ভালো কাজ করে।

নাইট ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই আমাদের মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। আপনি চাইলে আপনার মুখের সমস্ত জমে থাকা ময়লা, তেল অথবা মৃত কোষ দূর করতে একটি ভাল মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহারের আপনার ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

এরপর একটি নরম কাপড় অথবা তোয়াইলে দিয়ে মুখ আলতো ভাবে মুছে ফেলুন। মুখ ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর পরিমাণ মতো নাইট ক্রিম নিয়ে ভালোভাবে মুখ মাসাজ করার মতন করে ত্বকে মিশে যায় এমন ভাবে লাগিয়ে নিন। আপনি চাইলে মুখের পাশাপাশি গলা, ঘাড়, হাত, পা অথবা শরীরে যেকোন স্থানে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে আপনার মুখ কোমল, সুন্দর ও প্রাণ উজ্জ্বল দেখাবে।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি নাইট ক্রিম ছেলেদের কোনগুলো? আমরা মনে করি নাইট ক্রিম শুধু মেয়েদের ব্যবহারের জন্য কিন্তু এই ক্রিমগুলো ছেলেরা ব্যবহার করতে পারে। তবে ছেলেও মেয়েদের নাইট ক্রিম এর ভেতরে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বাজারে ছেলেদের বিভিন্ন ধরনের নাইট ক্রিম পেয়ে যাবেন তবে সেগুলো ভালো নাও হতে পারে। নাইট ক্রিম ছেলেদের মুখের বিভিন্নভাবে উপকৃত করে। চলুন তাহলে ছেলেদের নাইট ক্রিম গুলোর নাম নিচে দেওয়া যায়:

• ওয়ালী ন্যাচারাল হোয়াইট নাইট ক্রিম।
• অয়েল অয়েল কন্ট্রোলার ময়েশ্চারাইজ নাইট ক্রিম।
• লরেএল ম্যান এক্সপার্ট ওয়াইট একটিভ নাইট ক্রিম।
• হোয়াইট পারফেক্ট নাইট ক্রিম।
• জিনিয়ার ম্যানপাওয়ার নাইট ক্রিম ।
• ইমামি ফেয়ার ফেয়ার এন্ড লাভলী ।

অনেকেই আছেন যারা নাইট ক্রিম কেনার জন্য এর দাম সম্পর্কে জানতে চান। ভিন্ন ভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রিমের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশে সাধারণত আপনি ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার ভিতরে নাইট ক্রিম পেয়ে যাবে। তবে চলুন বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাওয়া কিছু নাইট ক্রিমের দাম সম্পর্কে জানা যাক:

• olay regenerist অ্যাডভান্স এন্টি এজিং night cream দাম ১৫ মিলিগ্রাম ১৫৫০ টাকা।
• pond age miracle night cream দাম ৪৫ গ্রাম ১১২৫ টাকা।
• saffron 20x witening night cream ২৫ গ্রামের দাম ৬৯০ টাকা।
• dr rashel vitamin c night cream দাম ৭২০ টাকা।premium safron night cream ২৫ গ্রামের দাম ৯৯০ টাকা।

আসল নাইট ক্রিম চেনার উপায় কি? আমরা অনেকেই নাইট ক্রিমের উপকারিতা জেনে নাইট ক্রিম কিনতে চাই । কিন্তু আমরা অনেকেই ভালো ও আসন নাইট ক্রিম চেনার উপায় সম্পর্কে অবগত নয়। এজন্য আমরা নানান দিক দিয়ে প্রতারিত হতে পারি। চলুন তাহলে নাইট ক্রিম চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে আসি।

• নাইট ক্রিম কেনার আগে অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে উত্তীর্ণ তারিখ ও উৎপাদন তারিখ দেখে নেওয়া উচিত।
• কেনার আগে অনলাইনে কিংবা আপনার আশপাশে কারো কারো কাছ থেকে ওই ব্র্যান্ডের রিভিউ সম্পর্কে জানুন।
• ভালো করে দেখুন এই নাইট ক্রিম কোন কোন উপাদান দ্বারা তৈরি হয়েছে।
• এরপর দেখুন নাইট ক্রিমটি আপনার স্কিনের সাথে সুট করে কিনা।
• আপনি আপনার স্কিনে কিছুক্ষণ লাগিয়ে টেস্ট করে দেখতে পারেন।

আমাদের চারপাশে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের নাইট ক্রিম পেয়ে যাবেন। আপনাকে এর ভেতর থেকে সেরা কিছু নাইট ক্রিম বেছে নিতে হবে। আপনি চাইলে লাকমে এডভান্সড নাইট রিপেয়ার ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান আমাদের ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পিউরিটি হোয়াইটেনিং নাইট ক্রিম থাকা আলফা আর্বুটিন ও গ্লাইকোলিক অ্যাসিড উপাদান যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন কালো দাগ , সানট্যান, ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে। এছাড়াও আমাদের স্কিন কোমল করে।ওলে রেজেনারিস্ট নাইট ক্রিম একটি আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টি এজিং ক্রিম যা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী।

এছাড়াও আরেকটি জনপ্রিয় নাইট ক্রিম ব্র্যান্ড হলো ডার্ক অ্যান্ড লাভলি হোয়াইটনিং ক্রিম। এটা থাকা উপাদান আমাদের ত্বকের মেলানিন এর মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণের কারণে হওয়া দাগ দূর করে। এতে আরো রয়েছে ভিটামিন সি ও হাইড্রোকিনন যা ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ত্বকের জন্য বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকারী।

নাইট ক্রিম সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহ ব্যবহার করা উচিত। তবে এটা কিছুটা ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে।

নাইট ক্রিম সাধারণত রাতে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

আমরা উপরে অনেকগুলো ব্র্যান্ডের ক্রিমের নাম উল্লেখ করেছি।

মুখ ফর্সা করার জন্য বাজারে অনেকগুলো ধরনের ক্রিম পেয়ে যাবেন। তবে কোন ক্রিম সরাসরি আমাদের মুখ ফর্সা করতে পারে না।

প্রথমে আপনি আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিড ও নিয়াসিনামাইড যুক্ত কিরিম কিনুন।

হ্যাঁ, নাইট ক্রিমে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের ত্বকের দাগ দূর করতে পারে।

ভালো ফলাফল পেতে ত্বকের ধরন অনুযায়ী নাইট ক্রিম বেছে নিন।

বাজারে অনেক ধরনের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসওয়াস পেয়ে যাবেন। তবে ফেসওয়াশের উপাদান গুলোর মধ্যে স্যালিসিলিক অ্যাসিড ও নিয়াসিনামাইড আছে কিনা দেখে কিনুন

বাংলাদেশের বাজারে ২০০ থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত দামের ফেসওয়াশ পেয়ে যাবেন।

নাইট ক্রিম এ থাকা অ্যালকোহল, প্যারাবেন, সালফেট, পারদ, মিনারেল অয়েল, হাইড্রো কুইনন, স্টেরয়েড ও কৃত্রিম ফ্র্যাগ্রান্স এই উপাদান গুলো আমাদের ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

হ্যাঁ, শুধুমাত্র নাইট ক্রিম আমাদের ত্বকের পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ ও সুরক্ষা দিতে পারেনা।

নাইট ক্রিম অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অনেকের ক্ষেত্রে স্কিনে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন ধরনের র‌্যাস দেখা যেতে পারে।

উপসংহার: স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম